দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ সঙ্গীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের ছেলে-মেয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফেরার পর তার শেষকৃত্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছে পরিবার। তার মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। এর আগে কিংবদন্তী শিল্পীর মৃত্যুর খবর পেয়ে নগরীর ই এম ক্লিনিকে ছুটে আসেন ভক্তরা।
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুর খবরে রাজশাহী নগরীর মহিষবাথান এলাকায় ই এম ক্লিনিকে ছুটে আসেন ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী ও বন্ধুরা। প্রিয় শিল্পীকে একনজর দেখার জন্য অপেক্ষা করেন তারা। তার মৃত্যুতে সঙ্গীতাঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন গুণীজনরা।
এক ভক্ত বলেন, তার মধ্যে কোন অহংকার ছিল না। এবং তিনি খুবই সুকণ্ঠের অধিকারী ছিলেন। শুধু বাংলাদেশই নয়, ভারতও তাকে নিয়ে অনেক সিনেমাতে গান করিয়েছে।
একজন বলেন, ওনার ছেলে-মেয়ে অস্ট্রেলিয়াতে আছেন, তারা ফিরলেই তার শেষকৃত্যে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
১৯৫৫ সালের চৌঠা নভেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন কিংবদন্তী সঙ্গীত শিল্পী এন্ড্রু কিশোর। তার মৃত্যুতে সঙ্গীতাঙ্গনে অপুরণীয় ক্ষতি হলো বলে মনে করছেন বিশিষ্টজন।
রাজশাহী-২ সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আমরা অনেক ব্যতীত কারণ আমরা একজন গুণী শিল্পীকে হারালাম। আমরা তাকে মনে রাখবো। তার গাওয়া গানগুলো মাধ্যমে তাকে খুঁজে পাবো।
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, এই শিল্পী চলে যাওয়া সংগীত অঙ্গনে এক গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হলো। আমরা তার মৃত্যুতে তার প্রতিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এন্ড্রু কিশোর। গত ১১ই জুন সিঙ্গাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কোরে দেশে ফেরেন তিনি। সপ্তাহ খানেক বাসায় কাটানোর পর তিনি রাজশাহীর মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় বোনের ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তার ছেলে ও মেয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফেরার পর অন্ত্রোষ্ট্রক্রিয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। তার লাশ রাজশাহী মেডিকেলের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন